পরীমণিকে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা মামলার মূল আসামি নাসিরসহ পাঁচ জন গ্রেপ্তার
ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা করার অভিযোগে অভিনেত্রী পরীমণির দায়ের করা মামলার মূল আসামি নাসির উদ্দিন মাহমুদসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার বেলা তিনটার দিকে উত্তরার একটি বাসা থেকে থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাদের। গ্রেপ্তার হওয়া অন্য তিনজন হলেন- লিপি, সুমি ও স্নিগ্ধা।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (উত্তর) যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশিদ গণমাধ্যমের কাছে এই পাঁচজনের গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ডিএমপি মিডিয়া অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ইফতেখায়রুল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমানের মাদকও জব্দ করা হয়েছে, মাদক নিয়ন্তন আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।
এর আগে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সরদার প্রথম আলোকে বলেছেন, সাভার ঢাকা সার্কেল অফিসের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও সাভার মডেল থানার ওসির নেতৃত্বে বেশ কয়েকটি দল দোষীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে। দোষীদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আইনের আওতায় আনা হবে।
পরীমণির দায়ের করা মামলায় মোট ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে দুজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। বাকিরা বেনামে রয়েছে।
চিত্রনায়িকা পরীমণিকে ধর্ষণের চেষ্টা ও হত্যার চেষ্টা করার অভিযোগে ব্যবসায়ী নাসির ইউ মাহমুদ, অমি এবং ছয় জনের বিরুদ্ধে সাভার থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, পরীমণির মামলাটি ঢাকা জেলা পুলিশ পাশাপাশি ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) তদন্ত করছে।
তবে জানতে চাইলে অভিনেত্রী পরীমণি সাভার থানার এআইজি (মিডিয়া ও জনসংযোগ) থানা সদর দফতরে দায়ের করা মামলাটি সম্পর্কে। সোহেল রানা একটি পাঠ্য বার্তায় প্রথম আলোকে বলেছিলেন যে তাঁর বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নেওয়া হয়েছে। আইনানুগ ব্যবস্থা চলছে।
অভিনেত্রী পরীমনি রবিবার রাতে বনানীতে নিজের বাসায় সাংবাদিকদের বলেছিলেন যে তিনি ১০ জুন রাতে পরিবারের বন্ধু অমি এবং ব্যক্তিগত মেকআপ শিল্পী জিমির সাথে বেরিয়েছিলেন। বন্ধুটি তাদের আশুলিয়ার একটি ক্লাবে নিয়ে যায়। অমি সেখানে কিছু মাতালদের সাথে পরিমনিকে পরিচয় করিয়ে দেয়। ঐ ব্যক্তিদের মধ্যে একজন হঠাৎ জোর করেই পরীমনির মুখে পানীয়র গ্লাস চেপে ধরেন এবং তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এই সময় মারধর করা হয় পরীর সাথে থাকা জিমিকেও।
চিত্রনায়িকা পরীমণীর অভিযোগ, ঘটনার পরপরই তিনি বনানী থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গিয়েছিলেন। তবে এ সময় দায়িত্বে থাকা কোনও কর্মকর্তা তার অভিযোগ নথিভুক্ত করেননি। বরং সকালে এসে অভিযোগ করার পরামর্শ দেন। এ সময় পুলিশের সহায়তায় পরীমণি হাসপাতালে গেলেও বিনা চিকিৎসায় বাড়ি ফিরেন। এ ঘটনায় পরীমনি মারাত্মকভাবে ভেঙে পড়েছে। তিনি খুব অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন।
পরীমণি রবিবার সন্ধ্যায় একটি ফেসবুক পোস্টে অভিযোগ করেছিলেন যে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে এবং হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। পরীমণি একটি ফেসবুক পোস্টে এই অভিযোগ করেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বিচার দাবি করেন। সূত্রঃ প্রথম আলো